ইসরায়েলে মসজিদের লাউড স্পিকারে আজান নিষিদ্ধ
- By Jamini Roy --
- 02 December, 2024
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির সম্প্রতি মসজিদে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো মসজিদে স্পিকার ব্যবহার করলে সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে স্পিকার জব্দ করতে পারবে। ইতামার বেন গিভিরের এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক, বিশেষ করে আরব নেতাদের মধ্যে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানায়, বেন গিভির মনে করেন, মসজিদের লাউড স্পিকারের আজান ইসরায়েলের বাসিন্দাদের জন্য “বিপদ”। তিনি এ নীতিকে বাস্তবায়ন করতে “গর্বিত” বলেও উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এটি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছেন, লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া হলে পুলিশ সরাসরি ব্যবস্থা নেবে এবং প্রয়োজন হলে স্পিকার বাজেয়াপ্ত করবে।
বেন গিভিরের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলি রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে। বিরোধী দল ও আরব নেতারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
- গিলাদ কারিভ: লেবার পার্টির এই নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, “বেন গিভির ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছেন। তিনি অশান্তি সৃষ্টি না করা পর্যন্ত থামবেন না।”
- আহমেদ তিবি: হাদেস-টা’আলের এই নেতা বেন গিভিরের নীতিকে “ঘৃণা ও নিপীড়নের ঘাঁটি” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই দাঙ্গাবাজ মন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।”
বেন গিভিরের আজান নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেকেই এটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে মুসলিম প্রধান দেশগুলো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলের আরব মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। বেন গিভিরের মতো কট্টর ডানপন্থী নেতাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে ইসরায়েলি আরব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি বাড়াবে।
তবে বিরোধী নেতাদের কড়া সমালোচনা এবং আরব সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়ার ফলে এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।